প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দাতা সহ ৪ জন মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে আটক!

শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দাতা রোহিঙ্গা সহ মালয়েশিয়ায় চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে টেররিজম বিভাগ।।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দেশটির শীর্ষ স্থানিয় অনলাইন পোর্টাল মালয় মেইলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোস্যাল মিডিয়ায় হত্যার হুমকি দিয়ে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছিলো ৪১ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা।

এরই সূত্র ধরে হুমকি দাতাসহ চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে দেশটির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (ই-৮)। খবরে বলা হয়, এ চার সন্ত্রাসী চরমপন্থী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে একজন রোহিঙ্গা, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার একটি ভিডিও আপলোড করে।

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল দাতুক সেরি আব্দুল হামিদ বদর এক বিবৃতিতে বলেন, ২৪ জুন হুমকি দাতা ও রোহিঙ্গা নাগরিককে কেদা সুঙ্গাই পেটানি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হুমকি দাতা সুঙ্গাই পেটানি এলাকায় একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করেন। পুলিশ জানায়, আটক ঐ রোহিঙ্গা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এর সমর্থক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি ভিডিও আপলোড করে হত্যা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। ফেসবুকে আপলোড করা ঐ ভিডিওতে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়।

আবদুল হামিদ বলেন, রোহিঙ্গা ওই সন্ত্রাসী ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম আসে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মানব পাচার ও চোরাচালান কর্মকান্ডে জড়িত ছিল।

গত ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের উপর ( ক্র্যাডডাউন )অনুসরণ করে আসছিল টেররিষ্ট বিভাগ। এসময় গ্রেফতার করা হয় আরো তিনজনকে।

গত ১৪ জুন, কিলাং সেলাঙ্গুর থেকে ৫৪ বছর বয়সী একজন ফিলিপিনো ইলেক্ট্রিশিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ফিলিপিনো কুখ্যাত আবু সাইয়াইফ সন্ত্রাসী দলের সাথে জড়িত থাকার কারণে আটক হন।

প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হয়েছে যে, সাবাহ সারওয়াকে তার বিরুদ্ধে মানব অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

বদুল হামিদ বলেন, ইস্টার্ন সাবা সিকিউরিটি কমান্ড (ইএসএসকম) পুলিশকে জানায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।

৩য় জন গ্রেফতার হয় ২১ জুন আম্পাং থেকে। তার বিরুদ্ধে শিখ জঙ্গি গোষ্ঠী বাবর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (বি কে আই) সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানায়। যার বয়স ২৪ বছর এবং ঐ ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক।

২০১৮ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে এবং ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের পিছনে সে সাত হাজার ৬শ আর এম খরছ করে। চতুর্থ জন রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে ৩ জুলাই কেদাহের আলোস্টা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আবদুল হামিদ বলেন, সন্দেহভাজন, যিনি বুকিত পিনাং-তে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন, এআরএসএকে সমর্থন ছিল আটক করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি মালয়েশিয়া পুলিশ।

আবদুল হামিদ বলেন, আটক ব্যক্তিরা পেনাল কোড (অ্যাক্ট ৫৭৪) এর অধীনে সন্ত্রাসবাদ দমনের অভিযোগ এবং নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) ২০১২ (আইন ৭৪৭) এর অধীনে তাদেও গ্রেফতার করা হয়।